কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্যোগে আজ (১৭ অক্টোবর) নগরীর খামারবাড়িস্থ ডিএই সম্মেলনকক্ষে প্রধান অতিথি হিসেবে জাতীয় ইঁদুর নিধন অভিযান ২০১৭ উদ্বোধন করলেন বরিশালের বিভাগীয় কমিশনার (অতিরিক্ত সচিব) মো. শহিদুজ্জামান। এ উপলক্ষে জেলা প্রশাসক মো. হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে এক আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (ডিএই), বরিশালের উপপরিচালক রমেন্দ্র নাথ বাড়ৈ, পিরোজপুরের উপপরিচালক মো. আবুল হোসেন তালুকদার, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের (ব্রি) মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. আলমগীর হোসেন, জেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার একরামুল করিম চৌধুরী, বানারীপাড়ার উপজেলা কৃষি অফিসার মো. অলিউল আলম, পিরোজপুর সদরের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা সুকেন্দ্র হালদার, ঝালকাঠি সদরের কৃষক আব্দুর রাজ্জাক প্রমুখ। প্রধান অতিথি তাঁর বক্তৃতায় বলেন, ইঁদুর ক্ষুদ্র প্রাণি হলেও অপকারের ভয়াবহতা বিশাল। এরা পেগ সহ ৪০ প্রকারের রোগ ছড়ায়। দেহের ওজনের প্রায় ১০ গুণ বেশি খাবার খায়। আর যাও খায় তার চেয়ে অনেক বেশি কেটেকুটে নষ্ট করে। মাঠের ফসল, গুদামজাত শস্য, শাকসবজি, কাপড়-চোপড়, মূল্যবান কাগজপত্র, লেপতোষকসহ আরো অনেক কিছু নষ্ট করে ফেলে। ক্ষতির দিক বিবেচনা করলে বলতে হয়- ইঁদুর আমাদের জাতীয় শত্র“। তাই এ ভয়ঙ্কর প্রাণীকে নিধন করতেই হবে। ইঁদুর দমনে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। এ ব্যাপারে তিনি সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান। অনুষ্ঠানে ইঁদুরের ক্ষয়ক্ষতির চিত্র এবং এদের দমনকৌশল পাওয়ার পয়েন্টের মাধ্যমে দেখানো হয়। অনুষ্ঠান শেষে ইঁদুর দমনে অবদানের জন্য বিভিন্ন ক্যাটাগরীতে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। ১৫ হাজার ৭শ’ ২০টি ইঁদুর মেরে বরিশালের গৌরনদী উপজেলার আব্দুস সাত্তার রাঢ়ি কৃষক পর্যায়ে প্রথম পুরস্কার এবং উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের মধ্যথেকে পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার মো. আক্কেল আলী ৪ হাজার ৩শ’ ৪৩ টি ইঁদুর মেরে তিনিও প্রথম পুরস্কার অর্জন করেন। এছাড়া ইঁদুরের ওপর প্রামাণ্য চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হয়। সভায় কৃষকসহ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, কৃষি তথ্য সার্ভিস, ব্রি, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের বিভিন্ন পর্যায়ের ১শ’ জন কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেন।